শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ আরও একবার দেখিয়ে দিলেন অভিজ্ঞতার মূল্য কতটা বেশি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষদিকে কিছুটা পুষিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবুও প্রথম ওয়ানডের চেয়ে কম রানের সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা লিটন দাস নেই ইনজুরির কারণে, এমানুল হক বিজয় হাত খোলার আগেই হয়ে গেলেন রানআউট, বাংলাদেশের স্কোরকে কে একটা সম্মানজনক অবস্থায় এনে দাঁড় করাবেন?
ররিবার ৭ আগস্ট হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জেতার জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ২৯১ রান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সামনে এই লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশও পেলো দারুণ এক চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮৪ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার এবং অধিনায়ক তামিম ইকবালও। ৪৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। ৪১ বলে ৪১ রান করেন আফিফ হোসেন থ্রো এবং ৩৮ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল দারুণ। অফসাইডে ছয় ফিল্ডার রেখে তামিম ইকবালকে ক্রমাগত করা হচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে বল। এর মধ্যেই ফাঁকা জায়গা বের করে বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন তামিম। যদিও তাকে থামতে হয় ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ৫০ রান করে। চিভাঙ্গার বলে তুলে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ দেন কাইতানোর হাতে।
এরপর অনেকটা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে আউট হতে হয় এনামুল হক বিজয়কেু। চিভাঙ্গার বলে স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেন শান্ত। বিজয় তখন ছিলেন নন স্ট্রাইকে। চিভাঙ্গার হাত ছুঁয়ে বল স্টাম্পে লাগলে ২৫ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় বিজয়কে।
মাঝে সøগ সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিমও। ১ চারে ৩১ বলে ২৫ রান করেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে ছিলেন অনেক্ষণ। মনে হচ্ছিল চার বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাবেন তিনি।
কিন্তু তার ধীরগতির ৫৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস থামে মাদাভিরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিলে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খেলছিলেন অনেকটা একই রকম ইনিংস। যদিও শেষদিকে কিছু বাউন্ডারে হাঁকিয়ে রানের সঙ্গে বলের পার্থক্য কমিয়েছেন তিনি। তবুও বাউন্ডারি হাঁকাতে তার ভোগান্তি, রান নিতে কষ্ট ফুটে উঠেছে স্পষ্ট।
এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি বাধেন। ৮১ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন তারা দু’জন। আফিফ দারুণ খেলছিলেন। ৪টি বাউন্ডারি মেরে রানকে ৪১ – এ নিয়ে যাওয়ার পর সিকান্দার রাজার বলে চিভাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
মেহেদী হাসান মিরাজ এসেও কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ১৫ রান তোলেন তিনি। তাসকিন আউট হন ১ রান করে। তাইজুল ইসলাম ৪ বলে ৬ রান করে বিদায় নেন। শেষ বলে রানআউট হন শরিফুল। ৮৪ বলে ৩ ছক্কা এবং ৩ বাউন্ডারিতে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।